বাংলাদেশে প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় অসংখ্য সামাজিক সমস্যার দেখা মিলে। এত এত সমস্যার মাঝে কোনটি নিয়ে লিখব তা ভাবতে ভাবতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল গ্রামীণ কিশোরদের রাজনীতি নিয়ে মাতামাতির বিষয়টা। যে বয়সে কিশোরগুলোর থাকার কথা বইয়ের পাতায়, তারাই আজ নোংরা রাজনীতির স্বীকার। সমাজের উচু স্তরের লোকগুলোর দ্বারা প্ররোচিত হয়ে, দু’চার টাকার লোভে পড়ে এ কিশোরগুলো জড়িয়ে পড়ছে অপরাজনীতিতে। শুধু তাই নয়,দু’চারদিন রাজনীতির মাঠে মিছিল মিটিং করে তারা হয়ে উঠে বন্ধুমহল থেকে শুরু সমাজের জন্য আতংকের নাম। এ নবরাজনৈতিক কিশোরগুলো তখন কাউকে পরোয়া করে না, সম্মান দিতে চায় না। সব কিছুতেই নাক গলাতে শুরু করে। তারা নিজেদেরকে অন্য লেবেলের ভাবতে শুরু করে। আর তাদেরকে ইন্দন দেয় সমাজের সুযোগ সন্ধানী নামধারী কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি। মূলত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলোর কারণেই এই কিশোরগুলো রাজনীতির ময়দানে নাম লেখায়।
নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে হাত খরচের টাকা দিয়ে খুব সহজেই স্কুল পড়ুয়া এই কিশোরগুলোকে পাড়ি জমায় রাজনীতির মাঠে। এতে করে সমাজের সার্বিক চিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নামধারী অভিভাবকরা ও নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সন্তানকে উৎসাহ যোগায় নোংরা রাজনীতিতে যোগ দিতে। সমাজে সৎভাবে বসবাস করা সহজ সরল মানুষগুলো এতে করে কোনঠাসায়, আতংকিত।শুধু তাই নয়, এই রাজনীতি করণের ফলে ধীরে ধীরে কিশোরগুলো জড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অপরাধে। মাদক, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্মে। এক সময়ে নৈতিকতা বিবর্জিত সকল কর্মকান্ডেই এই কিশোরগুলোর দ্বারা সম্ভবপর হয়ে উঠে। এরা এক একজন হয়ে উঠে সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ । কিশোরগুলো একসময়ে নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে আশেপাশের গ্রামে ও ভাড়াটে মাস্তান হিসেবে যাতায়াত শুরু করে। এতে করে সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। আমি মনে করি, কিশোরদের দ্বারাই সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। ছোট বেলায় যদি তাদের মনে পজেটিভ বিষয়গুলো তৈরি করা যায়, তাহলে এক সময় এরাই হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সম্পদ। কিশোর কাল ই একজন মানুষের জন্য তৈরি হওয়ার উপযুক্ত সময়। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক শিক্ষা হতে পারে প্রধান হাতিয়ার। সন্তানদের দিতে হবে সুশিক্ষা।অভিভাবকদের হতে অনেক বেশি সচেতন। সন্তানদের প্রতি রাখতে হবে কঠোর নজরদারি। তাহলে ই প্রতিষ্ঠিত হবে মানবিক সমাজ।